কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় ফণী ব্যাপক তাণ্ডব চালাচ্ছে ভারতের উড়িষ্যায়। সর্বোচ্চ ২০০ কিলোমিটার গতিবেগের এই ঝড় লণ্ডভণ্ড করে দিচ্ছে রাজ্যটির পূরী, গোপালপুর ও পারাদ্বীপ অঞ্চলের গাছপালা এবং বাড়িঘর। একইসঙ্গে ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে রাজ্যটির উপকূলের অনেক নিচু অঞ্চল।
শুক্রবার (০৩ মে) সকাল ৮টার দিকে শুরু হওয়া ঘূর্ণিঝড়টি দুপুর পর্যন্ত উড়িষ্যায় তাণ্ডব চালাবে বলে বলছেন আবহাওয়াবিদরা। এরপর বিকেলে এগিয়ে যাবে পশ্চিমবঙ্গের দিকে। তাণ্ডব চালাবে সেখানেও।
দেখা গেছে, উড়িষ্যায় ব্যাপক ধ্বংসত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে ফণী। প্রবল বেগে বইছে হাওয়া। দমকা হাওয়ায় হেলে পড়ছে নারকেল গাছগুলো। লণ্ডভণ্ড হয়ে যাচ্ছে আসবাবপত্র। সঙ্গে ভারী বৃষ্টিও রয়েছে। তা দেখলে যে কেউই ভয়ে কেঁপে উঠবে।গত কয়েকদিন ধরে পূর্বাভাস ছিল ফণী ভয়াবহ আঘাত হানবে। অবশেষে সে অশঙ্কাই বাস্তবে রূপ নিয়েছে উড়িষ্যায়। সেখানকার ধ্বংসত্মক পরিস্থিতি বলে দিচ্ছে, আবহাওয়ার যে আভাস ছিল, তা একেবারে সত্যি। ভয়াবহ তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে ফণী।
উড়িষ্যার পূরী জেলার চিলিকা হ্রদের পশ্চিমপাড় দিয়ে ভূ-ভাগে প্রবেশ করে ঝড়টি। ভূ-ভাগে আঘাত হানার সময় ঝড়টির বেগ ছিল ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার। পরে বেড়ে সর্বোচ্চ ২০০ তে যায়। এর জেরে উপকূলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।এদিকে, শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে মধ্যরাতে বাংলাদেশের খুলনা অঞ্চলে আঘাত হানবে ফণী। যদিও ইতোমধ্যেই ফণীর প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো বাতাস বয়ে যাচ্ছে।
তবে খুলনার দিকে আসতে আসতে প্রলয়ঙ্কারী ফণীর তেজ অনেকটাই কমে যাবে বলে মনে করছে ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর।